সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুই সন্তান বিক্রি করে দিলেন বাবা, ১৪ দিন পর একজন ফিরে পেলেন মা 

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২ ২২ ১০ ০২  

দুই-সন্তান-বিক্রি-করে-দিলেন-বাবা-১৪-দিন-পর-একজন-ফিরে-পেলেন-মা 

দুই-সন্তান-বিক্রি-করে-দিলেন-বাবা-১৪-দিন-পর-একজন-ফিরে-পেলেন-মা 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পাষণ্ড বাবার বিক্রয় করা দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে একজনকে ফিরে পেল মা রেহানা আক্তার। 

গত সোমবার এই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।  বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি মো. মোছলেহ উদ্দিনের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া মেয়েকে প্রকৃত মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর লিটনের (স্ত্রী) রুমি আক্তার ওই শিশু সন্তান, হাসিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময় একই ইউপির সোনাপুর গ্রামের নোয়া বাড়ির ফারুক, নুরজাহান, খোরশেদ, নুরুল করিম কুচক্রি মহলের কাছ থেকে ক্রয় করেন। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর সোমবার ১০ অক্টোবর দুপুরে খিলবাইচা ইলিয়াস হাজি বাড়ির নুজ্জামানের ছেলে লিটনের ঘর থেকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। রেহানা আক্তার ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং অপর বাচ্চাটি ফিরে পেতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

জানা যায়, রেহানা আক্তার সোনাপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের সঙ্গে মুসলিম সরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এবং তাদের সংসারে ২টি জমজ সন্তান আসে।

বর্তমানে তাদের বয়স প্রায় চার বছর। তিন মাস আগে রেহানা আক্তার একটি ছোঁয়াছে রোগে আক্রান্ত হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে সন্তানরা পাশে থাকতে পারবেনা এই সুভাধে স্বামী ফারুক হোসেন ও তার মা নুরজান বেগমের সঙ্গে হাসি, খুশি দুই সন্তানকে রাখা হয়। তিনমাস চিকিৎসার পর রেহানা আক্তার সুস্থ হয়ে বাচ্চাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ির কাছে যায়। কিন্তু তারা তাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে রেহানা জানতে পারে হাসি-খুসিকে তাদের বাবা ফারুক হোসেন ও দাদি নুরজাহান বেগম বিক্রি করে দেন। তখন মা রেহানা আক্তার চারদিক খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসলে তাদের সার্বিক তৎপরতায় হাসিকে পাওয়া যায়।

লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি মোছলেহ উদ্দিন জানান, অন্য সন্তানটি উদ্ধারে মাঠে আছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আশা করছি খুব শিগগিরই উদ্ধার হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী